০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এসএসিপি প্রকল্পের ইফাদ সুপারভিশন মিশনের কিক-অফ মিটিং অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ ১২:৪০:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • / 3

স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পেটিটিভনেস প্রজেক্টের (এসএসিপি) আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) সুপারভিশন মিশনের কিক-অফ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মধ্যবিল্ডিংয়ে অবস্থিত ডিজি কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

মিটিংয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর ভ্যালেন্টিন আচাঞ্চো। সভাপতিত্ব করেন প্রকল্প পরিচালক ড. মুহাম্মদ এমদাদুল হক।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইফাদ এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও’র বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি, কারিগরি সহযোগী, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মাঠপর্যায়ের বাস্তবায়ন সহযোগীরা।

সুপারভিশন মিশনের এ বৈঠকে এসএসিপির পূর্ববর্তী কার্যক্রম, অর্জন, বর্তমান অগ্রগতি এবং অবশিষ্ট কাজগুলো নিয়ে বিশদ পর্যালোচনা করা হয়। মিশনের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রকল্পের গতি, কার্যকারিতা এবং গুণগতমান মূল্যায়ন করে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনাকে আরও ফলপ্রসূ ও বাস্তবভিত্তিকভাবে সাজানো।

প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চাহিদাভিত্তিক উচ্চমূল্য ও পুষ্টিসমৃদ্ধ ফসল উৎপাদন, কৃষি ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনা এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাজার সংযোগ ও মূল্য সংযোজন বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি এটি নারী ও যুবদের জন্য আত্মকর্মসংস্থান ও জীবনমান উন্নয়নের পথ খুলে দিচ্ছে।

এসএসিপি প্রকল্প বর্তমানে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি জেলার ৩০টি উপজেলার ২৫০টি ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য কৃষিকে একটি লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।

এদিকে এই ১৪ দিনব্যাপী সুপারভিশন মিশনের অংশ হিসেবে মিশন দল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা পরিদর্শনে যাবেন। তারা প্রকল্পের মাঠপর্যায়ের বাস্তবায়ন পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করবেন এবং অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। পর্যবেক্ষণ শেষে আগামী ৭ মে একটি মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।

এই মিশনের মাধ্যমে ইফাদ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের মূল্যবান দিকনির্দেশনা নিয়ে প্রকল্পের অবশিষ্ট সময়কালীন পরিকল্পনা আরও বাস্তবভিত্তিক ও সমন্বিতভাবে প্রণয়ন করা হবে। এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রকল্পটি দেশের কৃষিখাতের টেকসই উন্নয়নে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

ট্যাগঃ

শেয়ার করুনঃ

এসএসিপি প্রকল্পের ইফাদ সুপারভিশন মিশনের কিক-অফ মিটিং অনুষ্ঠিত

প্রকাশিতঃ ১২:৪০:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পেটিটিভনেস প্রজেক্টের (এসএসিপি) আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) সুপারভিশন মিশনের কিক-অফ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মধ্যবিল্ডিংয়ে অবস্থিত ডিজি কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

মিটিংয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর ভ্যালেন্টিন আচাঞ্চো। সভাপতিত্ব করেন প্রকল্প পরিচালক ড. মুহাম্মদ এমদাদুল হক।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইফাদ এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও’র বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি, কারিগরি সহযোগী, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মাঠপর্যায়ের বাস্তবায়ন সহযোগীরা।

সুপারভিশন মিশনের এ বৈঠকে এসএসিপির পূর্ববর্তী কার্যক্রম, অর্জন, বর্তমান অগ্রগতি এবং অবশিষ্ট কাজগুলো নিয়ে বিশদ পর্যালোচনা করা হয়। মিশনের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রকল্পের গতি, কার্যকারিতা এবং গুণগতমান মূল্যায়ন করে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনাকে আরও ফলপ্রসূ ও বাস্তবভিত্তিকভাবে সাজানো।

প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চাহিদাভিত্তিক উচ্চমূল্য ও পুষ্টিসমৃদ্ধ ফসল উৎপাদন, কৃষি ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনা এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাজার সংযোগ ও মূল্য সংযোজন বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি এটি নারী ও যুবদের জন্য আত্মকর্মসংস্থান ও জীবনমান উন্নয়নের পথ খুলে দিচ্ছে।

এসএসিপি প্রকল্প বর্তমানে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি জেলার ৩০টি উপজেলার ২৫০টি ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য কৃষিকে একটি লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।

এদিকে এই ১৪ দিনব্যাপী সুপারভিশন মিশনের অংশ হিসেবে মিশন দল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা পরিদর্শনে যাবেন। তারা প্রকল্পের মাঠপর্যায়ের বাস্তবায়ন পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করবেন এবং অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। পর্যবেক্ষণ শেষে আগামী ৭ মে একটি মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।

এই মিশনের মাধ্যমে ইফাদ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের মূল্যবান দিকনির্দেশনা নিয়ে প্রকল্পের অবশিষ্ট সময়কালীন পরিকল্পনা আরও বাস্তবভিত্তিক ও সমন্বিতভাবে প্রণয়ন করা হবে। এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রকল্পটি দেশের কৃষিখাতের টেকসই উন্নয়নে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।